অর্থনীতি ডেস্ক: সরকার মাছের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ১০৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যায়ে ‘ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজম্যান্ট’ শীর্ষক একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মৎস্য অধিদফতর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রকল্পটি ২০২১-২২ অর্থবছরে এডিপি’তে বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির সুবিধার্থে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক সভায় অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।

            সূত্র জানায়, আপাতত দেশের ৮টি বিভাগের ৮ জেলার ২৯টি উপজেলায় এসব প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ক্লাইমেট স্মার্ট মৎস্যচাষ প্রযুক্তি প্রবর্তনের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানো হবে। আরও জানা গেছে, ব্যবসাবান্ধব সাপ্লাই চেইন এবং বাজার নেটওয়ার্ক প্রসারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের বাজারে প্রবেশাধিকার বাড়ানো হবে এবং স্টেকহোল্ডারদের জীবিকায়নের মানোন্নয়নসহ টেকসই মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বাড়ানো হবে। সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অন্তর্ভূক্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মোট ব্যায় ১০৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার মধ্যে সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে ২১ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা আইডিএ থেকে ঋণ সহায়তা বাবদ ৮৫ কোটি টাকা দেবে।

            পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় ১৪৫টি বিল নার্সারি, ৪৯টি মৎস্য অভয়াশ্রম স্থাপন, ১৯৪টি পুকুর ও জলাশয় পুনঃখনন করা হবে। ১৪৫টি মৎস্য-বান্ধব ফিশিং নেট সরবরাহ করা হবে। ১ হাজার ৯৫০টি বিভিন্ন ধরনের মৎস্য চাষ প্রযুক্তির প্রদর্শনী খামার, ২৯টি শুঁটকি প্রদর্শনী স্থাপন করা হবে। সাপ্লাই চেইন উন্নয়নের জন্য বরফ সুবিধাসহ ৫৮টি ইনসুলেটেড ভ্যান সরবরাহ করা হবে। মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্যের ভ্যালু চেইন উন্নয়নে ১৪টি মিনি প্রসেসিং ইউনিট নির্মাণ ও ফিশ প্রসেসিং যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। ৬০০ জন দরিদ্র মৎস্যচাষীকে বিকল্প কর্মসংস্থান কার্যক্রমে সহায়তাসহ প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা ও সেমিনার আয়োজন করা হবে। সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলায় বিদ্যমান জনশক্তির দক্ষতা উন্নয়ন, বিকল্প কর্মসংস্থান, সাপ্লাই চেইন উন্নয়ন ও ভ্যালু অ্যাডেড পণ্য তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বলে প্রকল্পটি ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। প্রকল্পটি চলতি জুলাই ২০২১ থেকে শুরু হয়ে ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হবে।

জানতে চাইলে প্রকল্পটি সম্পর্কে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানিয়েছেন, দেশের মাছের চাহিদা পূরণে প্রকল্পটি ভূমিকা রাখবে। অনেকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে।

খবরটি 364 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen