শিক্ষা ডেস্ক: চলতি অর্থবছরে নতুন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দও রয়েছে এমপিওভুক্তির জন্য। অনলাইনে আবেদন নেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। এরপর ২০১৮ সালের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা সংশোধনের জন্য ২০২০ সালের নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি কার্যক্রম পিছিয়ে পড়ে। চলতি বছর মার্চ মাসে এমপিও নীতিমালা সংশোধন করা হয়। এরপর করোনা পরিস্থিতির কারণে আরও পিছিয়ে যায় এমপিওভুক্তির কার্যক্রম। সংশোধিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় নতুন এমপিওভুক্তিতে শর্ত শিথিল করা হয়। আর নতুন নীতিমালা অনুযায়ী সফটওয়ার আপডেট করারও প্রয়োজন পড়ে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। দেশে মোট ৩৯ হাজার ৯২টি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে দেশে এমপিওভুক্ত কলেজ রয়েছে ৪ হাজার ৭টি, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয় ১৯ হাজার ৮৪৭টি, মাদ্রাসা রয়েছে ৯ হাজার ৩৪১টি এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫ হাজার ৮৯৭টি। আর বর্তমানে দেশে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি।

            মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ১০ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর একযোগে দুই হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে তালিকা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর ওই বছরের ১২ নভেম্বর ছয়টি এবং ১৪ নভেম্বর একটি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়। তবে শর্ত পূরণ করতে না পারায় এসব প্রতিষ্ঠানের দু-একটি প্রতিষ্ঠান বাদ পড়েছে বলে জানায় মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালের সংশোধিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় মেট্রোপলিটন সিটি, জেলা শহর, পৌরসভা ও মফস্বল পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য আলাদা শর্ত দেওয়া হয়। গ্রামাঞ্চল ও চরাঞ্চলসহ পিছিয়ে পড়া এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য শর্ত শিথিল রাখা হয়।  ২০১৮ সালের নীতিমালায় এমপিওভুক্তিতে সবার জন্য একই রকম শর্ত ছিলো। এমপিও বা মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার হলো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ যে অর্থ সরকার দিয়ে থাকে।

            শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, নীতিমালা হয়ে গেছে। আমি আশা করেছিলাম আগেই পারবো। কিন্তু চিন্তা যতদ্রুত এগিয়ে যায়, বাস্তবায়ন তত দ্রুত করা যায় না। আমরা শিগগিরই করতে পারবো। করোনার কারণে বা অন্য কোনও কারণে বাস্তবায়ন না হওয়ায় যেসব শিক্ষকরা অবসরে যাচ্ছেন তাদের ক্ষতিটা তো হয়েই গেল। চলতি অর্থবছরেই এমপিওভুক্তি সম্ভব। আমাদের অর্থ বরাদ্দও আছে।

খবরটি 1,076 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen