বিশেষ খবর ডেস্ক: বান্দরবানে পর্যটন শিল্পের বিকাশে বাধাগ্রস্ত করতে স্বার্থান্বেষী মহলের মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ম্রো সম্প্রদায়ের মানববন্ধন। বান্দরবান শহরের বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চের সামনে পার্বত্য বান্দরবানের ম্রো সম্প্রদায়ের বান্যারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় এ মানববন্ধন করা হয়েছে।

            অনুষ্টিত মানববন্ধনে ম্রো সম্প্রদায় জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে পাবর্ত্য বান্দরবানে বসবাসরত ম্রো সম্প্রদায়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য জেলা বান্দরবান এলাকার উন্নয়নে আর এন্ড আর হোল্ডিং গ্রুপ এর মাধ্যমে বান্দরবানের জীবন নগর চন্দ্রপাহাড়ে আধুনিক মানের পর্যটন কেন্দ্র নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল চন্দ্রপাহাড়ে আধুনিক মানের পর্যটন স্পট নির্মাণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং ম্রো সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি করার জন্য প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। ম্রো সম্প্রদায় উক্ত বিষয়টিকে বাংলাদেশের জনগনের সামনে আরো পরিস্কার করতে গিয়ে বলেন, বান্দরবান পাবর্ত্য এলাকায় সেনাবাহিনী ও ম্রো সম্প্রদায় যখন সহাবসহানে থেকে কাজ করছি তখন কিছু অসৎ স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের সুবিধা আদায়ের লক্ষে বান্দরবানে র্এই উন্নয়নের ধারাকে ব্যহত করার জন্য বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে চিম্বুক পাহাড়ে অবসিহত জীবন নগর চন্দ্রপাহাড়ের পর্যটন স্পটকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ম্রোদের নিয়ে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ও নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। সেখানে নাকি সেনাবাহিনী কর্তৃক ৮০০-১০০০ একর জায়গা দখল করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত পক্ষে উত্ত জায়গাটির পরিমাণ মাত্র ২০ একর, যা তৃতীয় শ্রেণীর জায়গা এবং বসবাসের অযোগ্য। এই জায়গাটি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ২০১৫ সালে নিজে স্বাক্ষর করে ৯৯ বছর ইজারা দিয়ে এ কাজ করার সুযোগ  প্রদান করেন। এই নিন্মমানের ও বসবাসের অযোগ্য জায়গায় আর এন্ড আর গ্রতপ ও সেনাবাহিনী যৌথ উদ্যোগে উন্নতমানের পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করার কাজ করছে। এই খবরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মিডিয়াতে যে ১০,০০০ (দশ হাজার) লোকের ভূমিহীন হওয়ার অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। বর্তমানে উক্ত জায়গাটিতে কোন রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ সংযোগ তথা কোন নাগরিক সুযোগ সুবিধা নেই এবং উক্ত এলাকাতে বর্তমানে কেউ বসবাসও করছে না। তাই জীবন নগর চন্দ্রপাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্র স্থাপিত হলে পরিবেশের উপর কোন বিরতপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নাই বরং ম্রো সম্প্রদায়ের আরো নতুন কর্মসংসহানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

ম্রো সম্প্রদায় আরো বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় পার্বত্য এলাকায় সমএাস দমনে সেনাবাহিনীর সাথে ম্রো সম্প্রদায় একাত্মা হয়ে কাজ করার ফলে সেনাবাহিনীর এবং ম্রো’দের মধ্যে সু-সম্পর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সেনাবাহিনী ম্রো ছেলে মেয়েদের লেখাপাড়ার জন্য স্কুল ও হোস্টেল তরী করেছে এবং শিক্ষা উপকরনসহ গরীব দুঃসহ পরিবারকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি ঘর-বাড়ী তরী করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক ম্রো সম্প্রদায়ের শিক্ষিত যুবকদের যোগ্যতা অনুযায়ী  চাকুরী প্রদান করা হচ্ছে এবং সেনাবাহিনীর বিভিন্ন টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংসহানের ব্যবস্থা করছে। সেনাবাহিনী বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান করছে এবং পার্বত্য এলাকায় পাকা সড়ক নির্মাণের ফলে ম্রো সম্প্রদায়ের অর্থনতিক উন্নতি সাধিত হচ্ছে। সেনাবাহিনী কর্তৃক বিভিন্ন সহানে পর্যটন স্পর্ট তরী করার ফলে নতুন নতুন কর্মসংসহানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে, এতে আমরা অর্থনৈতিক দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছি। সেনাবাহিনী এবং আর এন্ড আর হোল্ডিং গ্রতপ এর যৌথ উদ্যোগে জীবননগর চন্দ্রপাহাড়ে আধুনিক মানের পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করলে আমাদের ম্রো সম্প্রদায়ের আরো নতুন কর্মসংসহানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে আমরা অর্থনতিক দিক দিয়ে আরো লাভবান হব। কাজেই স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক বিভিন্ন মিডিয়াতে পর্যটন কেন্দ্র তরী সংত্রুামত যে, কাল্পনিক তথ্য ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অনতিবিলম্বে এই অপপ্রচার বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি। তথ্য সূত্র দৈনিক বান্দরবান।

খবরটি 569 বার পঠিত হয়েছে


আপনার মন্তব্য প্রদান করুন

Follow us on Facebookschliessen
oeffnen