বিশেষ খবর ডেস্ক: সারা দেশে নানা কর্মসূচিতে উদযাপিত হলো বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন। কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনাসভা, শোভাযাত্রা, কেক কাটা, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। এসব অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরিদের চিহ্ন মুছে ফেলতে খুনিরা শেখ রাসেলকে হত্যা করে।
ভোলা : সেখানে এক আলোচনাসভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ। তিনি শেখ রাসেলের প্রতি স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাপান সফরে বক্তব্য প্রদানের জন্য যখন মঞ্চে ওঠেন, শেখ রাসেল তখন আমার কাছে ছিল। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব থাকার সময় ধানমণ্ডির বাসায় গেলে আমায় তোফায়েল ভাই বলে ডাকত। রাসেল বাঁচতে চেয়েছিল, কিন্তু খুনিরা তাঁকে বাঁচতে দেয়নি।
এদিকে পৃথক এক অনুষ্ঠানে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, ১৫ আগস্ট শিশু রাসেলকেও ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়। খুনিরা তাকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল।
গোপালগঞ্জ : শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটার পাশাপাশি আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহীদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
টুঙ্গিপাড়া : কেক কাটা, শোভাযাত্রা, বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনাসভার মধ্য দিয়ে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপন করা হয়। আলোচনাসভায় টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান বিশ্বাস, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান বিশ্বাস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোফিদা আক্তার জোনাকি প্রমুখ বক্তব্য দেন।