ফিচার ডেস্ক: বঙ্গবন্ধুর রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারিনি বলে জিয়াউর রহমানের দেওয়া মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেই উলেস্নখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর তৎকালীন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান মন্ত্রী হওয়ার জন্য আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। জেলখানার ভেতরেই জিয়াউর রহমান তার সামরিক সচিব কর্নেল মাহফুজুর রহমানের মাধ্যমে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব পাঠান। বলা হয়েছিল, প্রস্তাবটি না মানলে ২৫ বছর জেলে থাকতে হবে। আমি সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপরিচালিত বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। ১৫ আগস্ট উপলক্ষে বিশেষ এ সাক্ষাৎকারটি প্রচার করে বিটিভি।
জিয়াউর রহমানের পাঠানো প্রস্তাবের উলেস্নখ করে আবদুল হামিদ বলেন, আমি ১৯৭৬ সালের ২১ ফেব্রম্নয়ারি কিশোরগঞ্জে আয়োজিত আলোচনা সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করি। বক্তৃতায় আমি বলেছিলাম, হিটলার-মুসোলিনি থেকে শুরু করে কোনো স্বৈরাচারই টিকেনি, এ দেশেও স্বৈরাচার টিকবে না। এই অপরাধেই বোধ হয় কিছুদিন পর আমি গ্রেপ্তার হই। পরে জেলখানার ভেতরে জিয়াউর রহমান মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব পাঠান। রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৫ আগস্ট বর্বরোচিত ঘটনা কেবল বাঙালির ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও বিরল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র পরাজিত হলেও দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে তাদের চক্রান্ত কখনো থেমে থাকেনি। স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ঘাতক চক্রের চক্রান্তের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশই হচ্ছে ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাকান্ড। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তার নীতি ও আদর্শ মুছে ফেলা যাবে। কিন্তু তাদের সে চক্রান্ত এ দেশের মুক্তিকামী জনগণ সফল হতে দেয়নি। তাইতো জীবিত মুজিবের চেয়ে অন্তরালের মুজিব অনেক বেশি শক্তিশালী।
বঙ্গবন্ধু আমৃতু্য দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করেছেন উলেস্নখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জেলজুলুম, নির্যাতন আর অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য প্রতিষ্ঠা করে গেছেন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য উন্নয়ন ও অগ্রগতির রূপরেখা রেখে গেছেন। রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠাই ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশ যেন সবসময় বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় এমনটি উলেস্নখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, কিন্তু ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তার সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেয়নি। দেশের মানুষকে বঙ্গবন্ধু নিজের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবেসেছেন। তিনি কখনো ভাবতেও পারেননি যে, কোনো বাঙালি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারে বা তাকে হত্যা করতে পারে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি সব সময়ই সুযোগ খুঁজতে থাকে। ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটলেও বঙ্গবন্ধু কখনো সেসব আমলে নিতেন না। বঙ্গবন্ধুকে ব্যক্তিগতভাবে সাবধান করেছিলেন উলেস্নখ করে মো. আবদুল হামিদ বলেন, যত দূর মনে পড়ে, পঁচাত্তরের ১১ আগস্ট বিকালে গণভবনে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলাম, আমার কিছু একান্ত কথা আছে। সন্ধ্যার পর গণভবনের বাগানে হাঁটতে হাঁটতে আমার কাছে জানতে চাইলেন, ‘কী বলতে চাস?’ আমি কিছু সন্দেহজনক ব্যাপার তাকে খুলে বললাম। বঙ্গবন্ধু হেসে বললেন, ‘একটু ঝামেলা ছিল, সব ঠিক হয়ে গেছে; চিন্তা করিস না।’ ফিরে এলাম আশ্বস্ত হয়ে। এটাই তার সঙ্গে আমার শেষ দেখা, শেষ কথা। এখন বুঝতে পারি, কোনো কিছুই ঠিক ছিল না তখন। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাঙালির স্বাধীনতা ও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল। তারা শুরু করেছিল বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির পালা। ইতিহাসের নারকীয় হত্যাকান্ডের বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘাতক চক্র কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইন পাস করে।
তৎকালীন ছাত্রনেতা ও তরুণ সাংসদ আবদুল হামিদ বলেন, জীবনভর বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে তার আদর্শ আঁকড়ে ধরেই থাকতে চেয়েছি। দেশ ও জনগণের যেকোনো ক্রান্তিকালে বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শই আমাদের পথের দিশা দেখায়। তিনি বলেন, নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেকোনো দেশের জন্যই সম্পদ। তাই তাদের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। নিজের দেশ, ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানাতে হবে। বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে উলেস্নখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এখন আর শুধু একটি নাম নয়; বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান, একটি কালজয়ী ইতিহাস ও একটি সত্তা। বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু রেখে গেছেন তার রাজনৈতিক দর্শন, নীতি ও আদর্শ, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সবাইকে আলোর পথ দেখাবে, উন্নতি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে সাহস জোগাবে। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ সব খাতেই এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে দেশ তার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন আর তারই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকীতে এটাই সবার প্রত্যাশা। এ সময় বঙ্গবন্ধুর মানবপ্রেম ও সমাজহিতৈষী কর্মকান্ডের নানা দিক বর্ণনা করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছাত্রজীবন থেকেই গরিব ছেলেদের সাহায্য করতে মুসলিম সেবা সমিতি গঠন করেন। এছাড়া পঞ্চাশের মন্বন্তর, ১৯৪৬ সালের হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গাসহ সব প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন। আর এভাবেই বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর। বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরাও যদি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে উদ্যোগী হই, তাহলে নিশ্চয়ই এ দুর্যোগে থেকে দেশ মুক্ত হবে, ইনশালস্নাহ। কেটে যাবে অমানিশার অন্ধকার, আলোকিত হয়ে উঠবে সবার জীবন। কোভিড-১৯-এর ছোবলে গোটা বিশ্ব বর্তমানে বিপর্যস্ত। এ অবস্থার উত্তরণে সবচেয়ে বেশি দরকার পারস্পরিক সহযোগিতা এবং জীবনযাপনের সর্বস্তরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। ১৫ আগস্ট জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় উলেস্নখ করে বেদনাহত কণ্ঠে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে মর্মান্তিক অধ্যায়। এমপি হোস্টেলে থেকে সকালে খবরটি শুনে কত যে কেঁদেছি! আক্ষেপ জেগেছে, বঙ্গবন্ধুকে আমি ব্যক্তিগতভাবে সাবধান করেছিলাম। আবদুল হামিদ আরও বলেন, জাতির পিতার চিন্তাচেতনায় সব সময় কাজ করত বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশ। তিনি ছিলেন এ দেশের স্থপতি। ঘাতক চক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, তত দিন তার নাম এ দেশের লাখো-কোটি মানুষের অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ উলেস্নখ করেন, ‘৭৪-‘৭৫ সালে এমপি হোস্টেল থেকে প্রায়ই ক্যান্টনমেন্টে যেতাম মামাশ্বশুর ড. মাহবুবুর রহমানের বাসায়। সেখানে থেকে ডিজিএফআই অফিস খুব কাছাকাছি। শ্যালক মাসুমকে সঙ্গে নিয়ে ওদের অনেকেরই হাবভাব, চালচলন পর্যবেক্ষণ করতাম। ভালো লাগত না। বারবারই মনে হতো, খারাপ কিছু ঘটবে। কিন্তু ওরা যে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মেরে ফেলবে, এটা কল্পনাই করতে পারিনি। ভয়াল ১৫ আগস্টের বর্ণনা দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ১৪ আগস্ট রাতে নানা জায়গায় আড্ডা দিয়ে এমপি হোস্টেলে ফিরি। ৩টা থেকে ৪টার দিকে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একাধিক আওয়াজ শুনেছি। ভেবেছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ-উলস্নাস হচ্ছে, পটকা ফুটছে। সকাল সাতটায় পাশের রুমের খন্দকার নুরুল ইসলাম (রাজবাড়ীর এমপি) এসে দরজা ধাক্কানো শুরু করলেন। রাতে দেরিতে ঘুমিয়েছি, তাই বেশ বিরক্তি নিয়ে দরজা খুলতেই তার মুখে শুনলাম ‘সর্বনাশ হয়ে গেছে।’ তিনি দৌড়ে রেডিও নিয়ে এলেন। সেখানে বারবার বাজছে, ‘আমি মেজর ডালিম বলছি।’ এর পরের কথাগুলো আমি আর শুনতে পারি না। আমার কান বন্ধ হয়ে আসে। মাথা ঘুরতে থাকে। আমার নেতাকে, আমার বঙ্গবন্ধুকে, বাঙালির জাতির জনককে ওরা মেরে ফেলেছে, এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। আমরা চেয়ে দেখি এমপি হোস্টেলের বাইরেও ট্যাংক ঘুরছে। অনেক এমপি এবং নেতাকে ফোন করি, অনেককেই পাই না। এমপি হোস্টেলে হামলা হতে পারে, এই আশঙ্কার মধ্যেই বের হই। স্যান্ডেল পায়ে হেঁটে হেঁটে ফার্মগেটে যাই। তারপর সেখান থেকে মহাখালীতে এক আত্মীয়ের বাসায়। কিশোরগঞ্জে গিয়েছি আরও পরে। জীবনে আর কোনো চাওয়া-পাওয়া বাকি নেই উলেস্নখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি অধিষ্ঠিত হতে পেরেছি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আসনেও। আমি শুধু চাই, এ দেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চিরঞ্জীব থাক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। আমাদের জাতীয় ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদান অপরিসীম। গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি এই জাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। এ জন্য তাকে বহুবার কারাবরণসহ অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দু’দশকের বেশি সময় ধরে এ দেশের জনগণকে জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে এই মহান নেতা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এ জন্য পুনরায় তাকে কারাবরণ করতে হয়, যেতে হয় ফাঁসির মঞ্চে। তবুও তিনি শত্রম্নর সঙ্গে আপস করেননি। দেশ ও জনগণের স্বার্থকে সারাজীবন সমুন্নত রেখেছেন। দুঃখী মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তাই ঘাতক চক্র জাতির জনককে হত্যা করলেও তার আদর্শ ও নীতিকে ধ্বংস করতে পারেনি। তিনি ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমাদের দায়িত্ব হবে দেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করে জাতির জনকের সেই স্বপ্ন পূরণ করা। তাহলেই তার আত্মা শান্তি পাবে এবং আমরা এই মহান নেতার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারব। তিনি বলেন, কোভিড-১৯-এর ছোবলে গোটা বিশ্ব বর্তমানে বিপর্যস্ত। এ অবস্থার উত্তরণে সবচেয়ে বেশি দরকার পারস্পরিক সহযোগিতা এবং জীবনযাপনের সব স্তরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। রাষ্ট্রপ্রধান মো. আবদুল হামিদ এ সময় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকীতে আমি তার স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। শোকাহত চিত্তে আরও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তার তিন পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ শহিদদের প্রতি, যারা ১৯৭৫ সালের এ দিনে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ঘাতক চক্রের হাতে শাহাদতবরণ করেছিলেন।
